দুপুর ১২টা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্য চত্বরের ওপরে একপাশে ‘বিশ্ব ভালোবাসা উদযাপন পরিষদ’ ব্যানার হাতে লাল পাঞ্জাবি ও লাল শাড়ি পরিহিত কয়েকজন নারী, পুরুষ ও ছোট্ট শিশুরা দাঁড়িয়ে।
তার ঠিক পাশেই এভারগ্রিন জুম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ব্যানার নিয়ে সবুজ টি-শার্ট পরে অপেক্ষাকৃত কম বয়সি বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণী লাল গোলাপ হাতে একে অপরের সঙ্গে গল্পগুজবে মত্ত। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করতে প্রতি বছরই ওরা এখানে মিলিত হয়। বুধবারও (১৪ ফেব্রুয়ারি) এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। রোদেলা দুপুরে লাল সবুজ পোশাকে ওদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে রাজু ভাস্কর্য চত্বর ঝলমল করছিল।
হঠাৎ করেই ওদের সামনে দিয়ে বেশ কিছু যুবককে ব্যানার হাতে স্লোগান দিতে দিতে ছুটে আসতে দেখা যায়। বাংলাদেশ সিঙ্গেল সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে ওরা স্লোগান দিচ্ছিল যে ‘অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ‘পুঁজিবাদী প্রেমের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘একটা একটা ডাবল ধর ধর, ধইরা ধইরা সিঙ্গেল কর’, ‘সিঙ্গেলদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’।
এ সময় টিএসসির আশেপাশে বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও পথচারীরা ভালোবাসার পক্ষে ও বিপক্ষের তরুণ-তরুণীদের কর্মকাণ্ড দেখে মুচকি হেসে বেশ উপভোগ করেন। কেউ কেউ বলছিল, ‘অ্যাইরে সেরেছে, না জানি আবার ফাইট লাগে।’ তবে ভালোবাসার পক্ষে বিপক্ষের তরুণ-তরুণীরা কেউ মারমুখী হননি।
সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর ১১টার পর থেকে রঙ্গিন পোশাক পরিহিত তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সি মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিড় জমাতে থাকে। প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযান পরিষদ টিএসসিতে শোভাযাত্রা বের করে।
পরিষদের সভাপতি মুফতি আহমেদ বলেন, তারা দুই যুগ থেকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করেন। ‘দিবসটি কেবল প্রেমিক প্রেমিকার জন্য নয়, এ দিবসটি সবার জন্য, নিজের জন্য, পরিবার, সমাজ ও পৃথিবীর জন্য ভালোবাসার দিবস। এ বছর তারা ভালোবাসা দিবসের প্রতিপাদ্য করেছেন উন্নয়নের জন্য ভালোবাসা। ’
এভারগ্রিন জুম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক রাজিব সরকার বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস মানেই সবাই মনে করেন কেবল প্রেমিক প্রেমিকার জন্যই। মানুষের এ গতানুগতিক ধারণা পাল্টে দিতেই আমাদের প্রয়াস। আমরা চাই সবাই সবাইকে ভালোবাসুক।